ইরানের সামরিক অভিযানের মুখপাত্র কর্নেল ইমান তাজিক দাবি করেছেন, মঙ্গলবার রাতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রমাণ করেছে—দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের আকাশ এখন পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণে।
তিনি জানান, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর অ্যারোস্পেস ফোর্স এই হামলা চালিয়েছে ‘ট্রু প্রমিস ৩’-এর একাদশ দফার অংশ হিসেবে। এতে প্রথম প্রজন্মের শক্তিশালী ‘ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে।
তাজিক বলেন, “এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে একাধিকবার কাপিয়ে দিয়েছে কাপুরুষ ইহুদিদের আশ্রয়কেন্দ্র, আর তেল আবিবে যুদ্ধবাজ মিত্রদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে ইরানের শক্তির বার্তা।”
তিনি আরও বলেন, এই হামলার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে—ইরান এখন দখলকৃত ফিলিস্তিনি আকাশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বসবাসকারীরা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে একেবারে অসহায়।
এর আগে আইআরজিসি জানায়, মঙ্গলবার দিনের শুরুতে একাধিক ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও কড়া বার্তা পৌঁছে দিয়েছে ইরান।
অধিকৃত অঞ্চল থেকে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি লক্ষ্যভেদ করছে এবং ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’ দ্বিতীয় রাতের মতো ব্যর্থ হচ্ছে। এমনকি কিছু প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র নিজ দেশে ফিরে গিয়ে তেল আবিবে বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলার পর ভাইরাল হওয়া মোবাইল ফুটেজে দেখা যায়, আতঙ্কিত ইসরায়েলিরা বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে হাঁটছে।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন রাতে ইসরায়েল বিনা উসকানিতে ইরানের আবাসিক এলাকায় হামলা চালায়। এতে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের মৃত্যু হয় এবং বেসামরিক জনবসতির ওপর হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে, যা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।